ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

ই ক্যাপসুল খেলে যেমন উপকার আছে তেমন এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নে, বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে,হাড়ের সমস্যা রোধ করতে, বন্ধাত্বের সমস্যা রোধ করতেও বিশেষ উপকারী।
Benefits of vitamin E

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে এর উপকারের পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে রাখা উচিত। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় তাই সঠিক তথ্য জেনেই যেকোনো জিনিস খাওয়া উচিত। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি পরিমানে খাওয়া উচিত কোন ভিটামিন ই ক্যাপসুলটি ভালো আজ এই পোস্টে এই সমস্ত বিষয়গুলি তুলে ধরবো।

এই পোস্টে যা যা জানতে পারবেন

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা

ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে এটির ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ভেতর থেকে ত্বককে পুষ্টি যোগাবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ত্বক কুচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করা, ত্বকের শুষ্কতা দূর করা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।
এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল বাহ্যিকভাবে ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ একটি পদ্ধতি হলো একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে এর এক্সট্র্যাক্ট বের করে এর সাথে দুই চা চামচ গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে রাতে পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন, যাদের ত্বক শুষ্ক বা ত্বক মলিন হয়েছে তাদের জন্য এটি যাদুর মত কাজ করে। তবে অবশ্যই আপনার ত্বক ভিটামিন ই ক্যাপসুল সহ্য করবে কিনা সেটি জানতে হবে। 

দেহে ভিটামিন এর অভাব পূরণে ভিটামিন ই

যাদের ভিটামিন ই ডিফিসিয়েন্সি আছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন অর্থাৎ ডাক্তার কাউকে বাহ্যিকভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকে ব্যবহার করতে বলবেন অথবা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দেবেন, কার জন্য কোনটা সঠিক সেই বিষয়টি জানতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া উচিত ।

চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে এর উপকার আমরা আমাদের চুলেও দেখতে পাব। ভিটামিন ই ক্যাপসুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল পড়া বন্ধ করতে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই এর অভাবে অনেকের চুল রুক্ষ শুষ্ক হয়ে থাকে। ভিটামিন ই সেবনের মাধ্যমে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।

তারুণ্য ধরে রাখতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে এটির ত্বকে বয়সের কমায়, ও তারুণ্য ধরে রাখে। ত্বকের বলি রেখা দূর করে ত্বক টান টান করে ও ত্বকে লাবণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি হিসেবে কাজ করে এর ফলে শরীরে বয়সের ছাপ দেরিতে বোঝা যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে অ্যাজমার সমস্যা কমে, হার্টের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ফ্যাটি লিভারে ভিটামিন এ অনেক কার্যকর এটি রক্তে লিপিড প্রোফাইলের মাত্রা কমায়এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন ই বিশেষ উপকারী। এটি রক্তের সিস্টোলিক প্রেসার কমায়, তবে ডায়াস্টোলিক প্রেসার কমাতে পারেনা। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় তেমনি এই ক্যাপসুল অতিরিক্ত সেবন ও ঠিক নয়। শরীরে ভিটামিন ই এর মাত্রা অধিক হয়ে গেলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ই ক্যাপসুল সেবনের আগে অবশ্যই এর সঠিক মাত্রা জেনে সেবন করা উচিত।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার নিয়ম

নারী,পুরুষ ও বয়স ভেদে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
পুরুষের জন্য 15mg(400UI)
নারীদের জন্য 11mg(300IU)
বি:দ্র তবে যেকোনো ঔষধ সেবনের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এই পোস্টটি শুধুমাত্র জ্ঞান বৃদ্ধি ও  পরামর্শের জন্য দেওয়া হয়েছে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের দাম সময় ভেদে ওঠানামা করে,বর্তমানে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের প্রতি পিস এর দাম ৭ টাকা।
মন্তব্য
ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য,ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় আশা করছি এটি বুঝতে পেরেছেন, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার আগে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উত্তম। যেমন পালং শাক,ব্রকোলি, চিনা বাদাম ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে।এই খাদ্যগুলো রাখার আপনার প্রতিদিনের খাবারে চেষ্টা করবেন। ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন